আজ ২রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এসব কী হচ্ছে উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষার আড়ালে? করিমগঞ্জের সংবাদ সম্মেলনে ওঠে এসেছে এসব শিক্ষা কার্যক্রমের মনিটরিং করার দায়িত্বশীলদের বীভৎস রূপ শ!!!!

করিমগঞ্জ থেকে শেখ আবুল মুনসুর লনূঃ করিমগঞ্জে উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে ফেয়ার ওয়ার্ল্ড অব বাংলাদেশ নামের এক এনজিও। নিয়োগকৃত শিক্ষিকাদের কার্যক্রম তদারকির দায়িত্ব পড়ে অপর এক এনজিওর কর্কর্তাগণের ওপর। ফলে লোভী তদারককারীদের সুযোগ সৃষ্টি হয় নানা ছুঁতায় শিক্ষিকাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করার ক্ষেত্র। এটা শুধু করিমগঞ্জেই নয়, পল্লীর নিবিড় প্রতিষ্ঠানগুলো এতে বেশ জর্জরিত। সারা বাংলাদেশে তার অনুসন্ধানে ব্যাপক তথ্য পাওয়া যেতে পারে। যেমন ১৬এপ্রিল করিমগঞ্জের জাফরাবাদের শিখন শিক্ষালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে কিছু এমন তথ্য ওঠে এসেছে মনিটরিংএর দায়িত্ব পাওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারীরা বলেনঃ আমরা সুষ্টু ও সুনামের সাথে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলাম। কিন্তু আমাদের ওপর মনিটরিং করার সুবাদে কিশোরগঞ্জ জেলার পপির এক কর্মকর্তা নাম বদিুজ্জামান তার ছন্দপতন ঘটাতে যাচ্ছেন। অভিযোগকারীরা বলেন ঃ আমাদের স্কুল সমূহে ইনভেস্টিগেশন করতে এসে সামান্য ত্রুটি-বিচ্যুতি পাওয়া-নাপাওয়ার মাঝে বদিউজ্জামান ধমকা-ধমকী, বকাবকি শুরু করে দেন,। চেষ্টা করেন আমাদেরকে দিয়ে মিথ্যা বলাতে। টাকা দিয়ে চাকুরী পেয়েছি মর্মে আমাদের উর্ধতন কর্কর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে তিনি সচেষ্ট রয়েছেন। তার অপরগতায় আমাদের চাকুরী নট হয়ে যাবে বলে তিনি ভয় দেখান। শুধু তাই নয়,কারো গায়ে গুঁতো দিয়ে কথা বলতেও তিনি পিছপা হননি। বদিউজ্জামানের সঙ্গে তাকেন জগদীশ ও খলিলুর রহমান নামের আরো দুইজন। তারাও একই কায়দায় স্কুল পরিদর্শন করেন। এসব তদন্তকারী কৃত্রিম অজুহাত ও সমস্যা তৈরিতে ওস্তাদ। তারা সময়ে অসময়ে কারণে অকারণে শিক্ষিকাদের ফোন দিয়ে হুমকী-ভয়ভীতি ও অশালীন কথাবার্তা বলে হয়রানী করার চরম পর্যায়ে সমাসীন হয়েছেন। আমরা তার প্রতিকার চাই।” অতপর অভিযোগকারীরা প্রায় ৬০/ ৭০জনের স্বাক্ষরিত শিক্ষকের এক অভিযোগপত্র দেখিয়ে বলেনঃ এটি করিমগঞ্জের ইউএনও মহোদয়ের কাছে করা অভিযোগ পত্র। নানা অজুহাতে নেতিবাচক রিপোর্ট দিয়ে এসব নিয়োগকৃত শিক্ষকদেরকে বাদ দেয়া যায় কীনা সেই কু-মতলবে তারাপ্রতিনিয়ত ব্যস্ত। যাদের সাথে এই বদিউজ্জামানের সখ্যতা তারা হলেন শাহানা আক্তার ও আছমা আক্তার। তারা জাল সার্টিফিকেট দিয়ে উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের দায়িত্ব পেয়েছেন, যা অভিযোগ আকারে এই পত্রে ইউএনও বরাবরে কাগজ দাখিল করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ঝর্না খাতুন,শিরিণ আক্তার,পান্না আক্তার,আজিজুন্নাহার,সুপারভাইজার মুর্শিদা,শিক্ষিকা শাপলা আক্তার,মণি আক্তার,তানিয়া আক্তার,নওরীন সুলতানা উষা প্রমুখ।
বিষয়টি এখনি তদন্ত করে বিচারের মুখোমুখি করতে ভুক্তভোগীরা জোর দাবি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category